ব্যবসায়ী রাজন হত্যা মামলা: সব আসামি হাই কোর্টে খালাস

ফাইল ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর কাপ্তানবাজারের ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরেফিন আবেদীন খান রাজন হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাই কোর্ট। এ সংক্রান্ত ডেথ রেফান্সে ও আপিল নিষ্পত্তি করে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

 

এ মামলায় ২০১৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম কুদ্দুস জামান (বর্তমানে হাই কোর্টের বিচারপতি) তিন আসমিকে মৃত্যুদণ্ড এবং তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী আহসান উল্লাহ শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এম মাসুদ রানা, মনজুরুল আলম সুজন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউনূস আলী রবি।

রায়ের পর ডিএজি এম মাসুদ রানা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, চারজন আসামি তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে অপরাধ স্বীকার করেছেন। একে অপরের স্বীকারোক্তির সঙ্গে মিল রয়েছে। সব কিছু বিবেচনায় মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখাই উচিত ছিল। তবে আদালত পলাতকসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন। এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সংক্ষুব্ধ। আমরা এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করবো। আশা করছি উচ্চ আদালতে সাজা বহাল থাকবে।

 

বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মোস্তাফিজুর রহমান, জাহাঙ্গীর হোসেন জয় ও আলমগীর ঢালী। এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মাসুম আহমেদ ইমন, নাজমুল ও নিয়ামত। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে আলমগীর ঢালী ও নাজমুল কারাগারে ছিলেন। বাকি চার আসামি এখনও পলাতক বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।

 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, রাজন রাজধানীর গুলিস্তানের কাপ্তানবাজার এলাকার এরশাদ মার্কেটের ‘বিক্রম পাওয়ার’ এনার্জি বাল্ব বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোস্তাফিজ ও জাহাঙ্গীর ছিলেন তার দোকানের কর্মচারী। বিভিন্ন সময় আসামিরা রাজনের ব্যবসা থেকে ৬৩ লাখ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করে। পরে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে রাজনকে কেরানীগঞ্জে জমি দেখানোর কথা বলে নিয়ে ২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর হত্যা করে।

 

হত্যার পর লাশ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চিতাখোলা এলাকার একটি ডোবায় ফেলে দেয়। হত্যার পরদিন পুলিশ ওই ডোবা থেকে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই বছর ১৬ অক্টোবর নিহতের মা হোসনে আরা বেগম কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। বিচারিক আদালতের রায়ের পর মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করণের জন্য ডেথ রেফারেন্স হিসেবে মামলাটি হাই কোর্টে আসে। একই সঙ্গে আসামিরা আপিল করেন। গত ৮ ডিসেম্বর শুনানি শেষে রায়ের জন্য ১৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন হাই কোর্ট।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» আওয়ামী লীগের কার্যালয় এখন বাকরখানির দোকান

» বিশ্বকে চমকে দিতে প্রস্তুত ইরানের এআই অস্ত্রভাণ্ডার

» দেশে ‘কেমন একটা অস্থিরতা চলছে’ : ফখরুল

» এবার পালাবেন কোথায় কাদের? থাকতে পারবেন না ১৯৫ দেশে!

» একেকটা ঝটিকা মিছিলে ৫/৬ জন ৩ মিনিট মিছিল করে চলে যায়, এতে চিন্তার কি আছে ?: প্রেস সচিব

» কৃষ্ণচূড়া ছুঁয়ে বৈশাাখী মেঘ

» রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সম্মিলিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগ প্রয়োজন : প্রধান উপদেষ্টা

» কুরবানির ঈদে কমবে লোডশেডিং থাকবে না যানজট: ফাওজুল কবির

» দাবি পূরণ করেই ছাত্ররা ক্লাসরুমে ফিরবে নওগাঁর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা

» সুন্দরবনের উপকূলে খাদ্যের সন্ধানে জনপদে লোকালয়ে কালোমুখো হনুমান

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ব্যবসায়ী রাজন হত্যা মামলা: সব আসামি হাই কোর্টে খালাস

ফাইল ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর কাপ্তানবাজারের ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরেফিন আবেদীন খান রাজন হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাই কোর্ট। এ সংক্রান্ত ডেথ রেফান্সে ও আপিল নিষ্পত্তি করে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

 

এ মামলায় ২০১৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম কুদ্দুস জামান (বর্তমানে হাই কোর্টের বিচারপতি) তিন আসমিকে মৃত্যুদণ্ড এবং তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী আহসান উল্লাহ শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এম মাসুদ রানা, মনজুরুল আলম সুজন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউনূস আলী রবি।

রায়ের পর ডিএজি এম মাসুদ রানা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, চারজন আসামি তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে অপরাধ স্বীকার করেছেন। একে অপরের স্বীকারোক্তির সঙ্গে মিল রয়েছে। সব কিছু বিবেচনায় মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখাই উচিত ছিল। তবে আদালত পলাতকসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন। এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সংক্ষুব্ধ। আমরা এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করবো। আশা করছি উচ্চ আদালতে সাজা বহাল থাকবে।

 

বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মোস্তাফিজুর রহমান, জাহাঙ্গীর হোসেন জয় ও আলমগীর ঢালী। এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মাসুম আহমেদ ইমন, নাজমুল ও নিয়ামত। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে আলমগীর ঢালী ও নাজমুল কারাগারে ছিলেন। বাকি চার আসামি এখনও পলাতক বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।

 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, রাজন রাজধানীর গুলিস্তানের কাপ্তানবাজার এলাকার এরশাদ মার্কেটের ‘বিক্রম পাওয়ার’ এনার্জি বাল্ব বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোস্তাফিজ ও জাহাঙ্গীর ছিলেন তার দোকানের কর্মচারী। বিভিন্ন সময় আসামিরা রাজনের ব্যবসা থেকে ৬৩ লাখ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করে। পরে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে রাজনকে কেরানীগঞ্জে জমি দেখানোর কথা বলে নিয়ে ২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর হত্যা করে।

 

হত্যার পর লাশ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চিতাখোলা এলাকার একটি ডোবায় ফেলে দেয়। হত্যার পরদিন পুলিশ ওই ডোবা থেকে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই বছর ১৬ অক্টোবর নিহতের মা হোসনে আরা বেগম কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। বিচারিক আদালতের রায়ের পর মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করণের জন্য ডেথ রেফারেন্স হিসেবে মামলাটি হাই কোর্টে আসে। একই সঙ্গে আসামিরা আপিল করেন। গত ৮ ডিসেম্বর শুনানি শেষে রায়ের জন্য ১৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন হাই কোর্ট।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com